এই ব্লগটি সন্ধান করুন

মঙ্গলবার, ২৪ মার্চ, ২০১৫

ভাঙা মন আবার জোড়া লাগানোর জন্যই দ্রুত আরেকজন সঙ্গী খুঁজে থাকেন।


ভাঙা মন আবার জোড়া লাগানোর জন্যই দ্রুত আরেকজন সঙ্গী খুঁজে থাকেন। কিন্তু এই কাজটি করার আগে আপনার ভেবে নেওয়া উচিৎ। আপনি কি আসলেই অন্য একজন মানুষকে নিজের জীবনে জড়াতে চান? নাকি আগের প্রেমের কষ্ট ভুলতে সাময়িক সান্ত্বনা চান? দেখা যায় এ সময়টাতেও আপনি আগের প্রেমিক/ প্রেমিকাকে নিয়েই চিন্তা করতে থাকেন। সবচাইতে ভালো কাজ হলো একবার ব্রেক আপ হবার পর নিজেকে কিছু সময় দেওয়া এবং নিজের জীবনকে গুছিয়ে নেওয়া। আরেকবার সম্পর্কে জড়ানোর আগে নিশ্চিত হয়ে নেওয়া ভালো যে আপনি আসলেই আরেকটি সম্পর্কের জন্য প্রস্তুত কিনা। বন্ধুর সংখ্যা বাড়ান নারী ও পুরুষ উভয় লিঙ্গের মানুষের সাথে বন্ধুত্ব করুন এবং বন্ধুর সংখ্যা বাড়িয়ে নিন। কারণ এসব মানুষের মাঝেই আপনি প্রিয় কাউকে খুঁজে পেতে পারেন। আপনার বন্ধুদের মাধ্যমেও নতুন কারও সাথে আপনার পরিচয় হতে পারে। ব্লাইন্ড ডেট এখনকার দিনে কাজের চাপে আমাদে কামনাই করি .. ভাঙা মন আবার জোড়া লাগানোর জন্যই দ্রুত আরেকজন সঙ্গী খুঁজে থাকেন। কিন্তু এই কাজটি করার আগে আপনার ভেবে নেওয়া উচিৎ। আপনি কি আসলেই অন্য একজন মানুষকে নিজের জীবনে জড়াতে চান? নাকি আগের প্রেমের কষ্ট ভুলতে সাময়িক সান্ত্বনা চান? দেখা যায় এ সময়টাতেও আপনি আগের প্রেমিক/ প্রেমিকাকে নিয়েই চিন্তা করতে থাকেন। সবচাইতে ভালো কাজ হলো একবার ব্রেক আপ হবার পর নিজেকে কিছু সময় দেওয়া এবং নিজের জীবনকে গুছিয়ে নেওয়া। আরেকবার সম্পর্কে জড়ানোর আগে নিশ্চিত হয়ে নেওয়া ভালো যে আপনি আসলেই আরেকটি সম্পর্কের জন্য প্রস্তুত কিনা। বন্ধুর সংখ্যা বাড়ান নারী ও পুরুষ উভয় লিঙ্গের মানুষের সাথে বন্ধুত্ব করুন এবং বন্ধুর সংখ্যা বাড়িয়ে নিন। কারণ এসব মানুষের মাঝেই আপনি প্রিয় কাউকে খুঁজে পেতে পারেন। ঈদ মুব আপনার বন্ধুদের মাধ্যমেও নতুন কারও সাথে আপনার পরিচয় হতে পারে। ব্লাইন্ড ডেট’

মঙ্গলবার, ১৭ মার্চ, ২০১৫

√ ছেলেদের গোপন সমস্যা ও সমাধান


স্বামী স্ত্রী সহবাস করার সময় কিছু নিয়ম কানুন মেনে চলতে হয় . . ১। রাত্রি দ্বি-প্রহরের আগে সহবাস করবে না। . . ২। ফলবান গাছের নিচে স্ত্রী সহবাস করবে না। . . . ৩। সহবাসের প্রথমে দোয়া পড়বেন। স্ত্রী সহবাসের দোয়া, তারপর স্ত্রীকে আলিঙ্গন করবেন। স্ত্রী যদি ইচ্ছা হয় তখন তাকে ভালো বাসা দিবে এবং আদর সোহাগ দিবে, চুম্বন দিবে। তখন উভয়ের মনের পূর্ণ আশা হবে সহবাস, তখন বিসমিল্লাহ বলে শুরু করবেন। . . . ৪। স্ত্রী সহবাস করার সময় নিজের স্ত্রীর রূপ দর্শন শরীর স্পর্শন ও সহবাসের সুফলের প্রতি মনো নিবেশ করা ছাড়া অন্য কোনো সুন্দরি স্ত্রী লোকের বা অন্য সুন্দরী বালিকার রুপের কল্পনা করিবে না। তাহার সাহিত মিলন সুখের চিন্তা করবেন না। স্ত্রীর ও তাই করা উচিৎ। . . ৫। রবিবারে সহবাস করবেন না। . . . ৬। স্ত্রীর হায়েজ- নেফাসের সময় উভয়ের অসুখের সময় সহবাস করবেন না। . . ৭। বুধবারের রাত্রে স্ত্রীর সহবাস করবেন না। . . ৮। চন্দ্র মাসের প্রথম এবং পনের তারিখ রাতে স্ত্রী সহবাস করবেন না। . . ৯। স্ত্রীর জরায়ু দিকে চেয়ে সহবাস করবেন না। ইহাতে চোখের জ্যোতি নষ্ট হয়ে যায়। . . ১০। বিদেশ যাওয়ার আগের রাতে স্ত্রী সহবাস করবেন না। . . ১১। সহবাসের সময় স্ত্রীর সহিত বেশি কথা বলবেন না। . . ১২।নাপাক শরীরে স্ত্রী সহবাস কবেন না। . . ১৩। উলঙ্গ হয়ে কাপড় ছাড়া অবস্থায় স্ত্রী সহবাস করবেন না। . . ১৪। জোহরের নামাজের পরে স্ত্রী সহবাস করবেন না। . . ১৫। ভরা পেটে স্ত্রী সহবাস করবেন না। . . ১৬। উল্টাভাবে স্ত্রী সহবাস করবেন না। . . ১৭। স্বপ্নদোষের পর গোসল না করে স্ত্রী সহবাস করবেন না। . . ১৮।পূর্ব- পশ্চিমদিকে শুয়ে স্ত্রী সহবাস করবেন না।. .

জান্নাত, হুর ও জান্নাতের অন্যান্য নেয়ামতসমূহ । দুনিয়ার জীবন অপেক্ষা বেহেশ্তের জীবন উত্তম নয় কি ?


জান্নাত হলো চিরস্হায়ী । তার নায-নেয়ামত, ভোগ-বিলাস ও সকল মন্জিল মুমিনের জন্যে প্রতিদান স্বরূপ । বর্ণিত আছে, হযরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেছেন, জান্নাতের দেওয়াল স্বর্ণ ও চান্দি দ্বারা নির্মিত , মাটি জাফরান ও মিশকের । এক হাদীসে আছে, একজন সাধারণ বেহেশ্তী যে স্হান লাভ করবে , তা সমগ্র দুনিয়া ও দুনিয়ার দশগুন স্হানের সমান হবে । -মুসলিম, মেশকাত । উল্লেখ আছে, জান্নাতে সর্বপ্রথম প্রবেশকারী দলের সুরত হবে চৈাদ্দ তারিখের চাদের উজ্জ্বলতার মত, তাদের প্রত্যেককে একশত মানুষের শক্তি প্রদান করা হবে । খানা-পিনা, নাক-মুখের ময়লা, ঘুম ও থু থু এবং পেশাব পায়খানাসহ মানবিক কোন প্রয়োজন সৃষ্টি হবে না । জান্নাতি লোকদের শরীর থেকে মিশকের মত সুঘ্রাণ নির্গত হবে । উল্লেখ আছে, জান্নাতি হুররা দেখতে ইয়াকুত ও মারজানের মত হবে । তাদের চেহারার উজ্জ্বলতা দৃষ্টি শক্তিকে দমিয়ে রাখতে পারবেনা । তারা পোশাকে আয়না অপেক্ষা অধিক স্বচ্ছ ও পরিস্কার হবে । মামুলী একজনের গায়ের উজ্জ্বলতা মাশরিক ও মাগরেবকে আলোকিত করে তুলবে । প্রত্যেক হুরই সত্তর তা কাপড়ের পোশাকে সজ্জিত থাকবে , যার সূক্ষতার দরুণ তাদের রৈাপ্য সদৃশ পায়ের গোছা পর্যন্ত দৃষ্টি গোচর হবে । জান্নাতে প্রত্যেক মুমিন-ই হযরত আদম (আ.) এর মত লম্বা-চওড়া হবে ,ইউসুফ (আ.) এর মত সুন্দর যুবক হবে । কখনও বৃদ্ধ হবে না । কন্ঠ হযরত দাউদ (আ.) এর মত সুন্দর হবে । জান্নাতী মহিলারা সকল প্রকার হিংসা-বিদ্বেষ, পরনিন্দা, ঈর্ষা ও দুঃচরিত্রয়তা থেকে মুক্ত থাকবে, কখনো অসুস্হ হবে না । জান্নাতী হুরদেরকে আল্লাহ তায়ালা মিশক, জাফরান দ্বারা পয়দা করেছেন, আবেহায়াত দ্বারা খামির তৈরী করেছেন । তাদের সৈান্দর্য্যের দরুণ হাড্ডির সিরা-উপসিরা পর্যন্ত দৃষ্টিগোচর হবে । বেহেশ্তী পুরুষের জন্য আয়নার দরকার হবে না । হুরের সর্ব শরীর, বুক, মুখ ও চেহারার নুরূনী আলোতেই তাদের আয়নার কাজ হবে । আকাশের বড় উজ্জ্বল তারার চেয়ে হুরদের মাথার চুল বেশি উজ্জ্বল ও পরিস্কার হবে । তাদের সমস্ত শরীর মেশক জাফরানের সুবাস ভরা ও কস্তরী মাখা । তাদের এক এক হাতে দশ গোছা করে সুন্দর মণি মুক্তার চূড়ি থাকবে । হাদীসে আছে, একদিন ফেরেশ্তা জিব্রাঈল (আ.) এক হুরের রূপ দেখে বেহুশ হয়ে পড়েছিলেন । হাদীসে আছে, গভীর অন্ধকার রাতে যদি কোন হুর তার কনিষ্ঠ আঙ্গুলকে দুনিয়ায় প্রকাশ করেন তাহলে তার দ্বারা পৃথিবী আলোকিত হয়ে যাবে, মুখের এক ফোটা লালা সমুদ্রে নিক্ষেপ করলে সমুদ্রের পানি মিষ্টি হয়ে যাবে । এতদসত্বেও তারা পৃথিবীর নারীকূলের সেবিকা হয়ে থাকবে । জান্নাতী হুরদের সৈান্দর্য সৃষ্টিগত, পৃথিবীর নারীদের সৈান্দর্য্য দু'ধরণের । এক, সৃষ্টিগত দুই, প্রতিদানী । দুনিয়ায় তারা নানা ধরণের কষ্টক্লেশ সহ্য করার কারণে তাদের এ প্রতিদান, জান্নাতী হুরদের নিকট তারা দুনিয়ার সম্রাজ্ঞীর মত এবং হুররা তাদের বাঁধি তুল্য । এক একজন পুরুষ বেহেশ্তের মধ্যে ৭০/৭২ জন করে হুর পাবেন । বেহেশ্তেী পুরুষ হুরগণের সাথে যতই সঙ্গম করুক তবু তাদের শরীর কখনো দুর্বল হবেনা । বরং যতই সঙ্গম করবে ততই তাদের শরীরে কান্তি ফু্টে উঠবে, রূপ বাড়বে, শক্তি বৃদ্ধি পাবে । আর দুনিয়ার সঙ্গমের চেয়ে ৭০ গুণ বেশি স্বাদ পাওয়া যাবে । এখন স্বামী সঙ্গমে মেয়েদের রূপ নষ্ট হয়ে যায়, শরীর ভেঙ্গে পড়ে । তখন এমন হবে না । মেয়েদের শরীর সব সময় কুমারী মেয়েদের অনুরূপ থাকবে । দুনিয়াতে মানুষ বুড়ো হয়, রোগ-শোকে শরীর ক্ষীণ হয় কিন্তু সেখানে তা হবে না । বরং দিন দিন শরীর আরো ভালো হবে । বেহ্শ্তেী নারী-পুরুষ চিরদিন এভাবে- এমন সুখেই কাটবে । তবে বেহেশ্তের হুরদের চেয়েও বেহেশ্তীদের নিকট যাহা আকর্ষণীয় হবে তা হলো আল্লাহর দিদার বা সাক্ষাত । তাই তো বাউল কবি মাহতাব বলেন - চাইনা তোমার বেহেশ্ত-দোযখ, চাই না তোমার হুরপরী , দিদার আশায় মাহতাব অধম, প্রেম সাগরে বাই তরী । হাদিস শরীফের রেওয়ায়েত, জান্নাতী নারীরা তাদের স্বামীর কাছে এত সৈান্দর্য্যপূর্ণ ও পবিত্র হবে যার পবিত্রতায় ও স্বচ্ছতার মধ্যে তাদের হৃদয় স্বামীদের চোখে আয়নার মত এবং পুরুষদের হৃদয় তাদের জন্য আয়নার মত হবে । একটি হাদিসে আছে, জান্নাতী নারীদের মধ্যে দুনিয়ার নারীরা সর্বোচ্চ সম্মানের অধিকারী হবেন । দুনিয়ায় কষ্টক্লেশ সহ্য করার কারণে তাদের মর্যাদা । দুনিয়ার নারীদের মত জান্নাতী হুরগণ জান্নাতী নারীদের প্রতি ঈর্ষা করবে তাদের এরূপ সম্মান দেখে। উল্লেখ আছে, জান্নাতী ফল দু'ধরনের হবে । এক. দুনিয়ায় যা ভক্ষণ করা হয়েছে । দুই. যা কোনদিন কেউ দেখেনি বা ভক্ষণ করেননি । অবশ্য জান্নাতী ফলের পার্থক্য হলো তার কোন দানা , কাটা এবং খোসা থাকবেনা । পরিস্কার অথবা ছিলানোর কোন প্রয়োজন হবে না , সরাসরি ভক্ষণ করা যাবে । রোগ-ব্যাধির সৃষ্টি হবে না । মুমিন তার ইচ্ছমত ভক্ষণ করতে পারবে । দাড়িয়ে , বসে বা শয়ে সর্বাবস্হায় বিনা কষ্টে ইচ্ছা করলেই সরাসরি মুখে এসে পড়বে । সেখানে নেয়ামতের কোন কমতি নেই এবং তা কখনো শেষ হবার নয় । দুনিয়ার প্রতিটি ফলের এক ধরনের স্বাদ রয়েছে । কিন্তু জান্নাতী প্রতিটি ফলের মধ্যে সত্তর রকমের স্বাদ থাকবে । সেখানকার ফল খাবার দরুণ ক্ষুধা ও পিপাসা মিটে যাবে, সেখানে কারোর ক্ষুধা ও পিপাসা লাগবেনা । জান্নাতের এসব নেয়ামতই কেবল ভোগ-বিলাসিতা ও আনন্দের জন্য । বর্ণিত আছে, আল্লাহতায়ালার নির্দেশে জান্নাতে চারটি প্রস্রবণ প্রবাহিত হবে । একটি দুধের, দ্বিতীয়টি মধুর, তৃতীয়টি শরাবের এবং চতুর্থটি পানির । একটি অপরটির সাথে সংমিশ্রণ হবে না । অন্য হাদিসে আছে, জান্নাতের শরাবে কাফুরের সুঘ্রাণ থাকবে , দুনিয়ার শরাবের মত টক ও মত্ততা হবে না । এতে সঙ্গাহীনতার অবকাশ নেই, নেই বমি হওয়ার সুযোগ । টগবগ করবেনা, থাকবেনা কোন দুর্গন্ধ- এমনই হবে জান্নাতি শরাব । কথিত আছে, জান্নাতী হাওয়া সকালের বাতাসের অনুরূপ । গরম বা ঠান্ডা হবে না এবং দিন রাতের হাওয়ার মতও নয় । বর্ণিত আছে, জান্নাতীরা বেহেশ্তী আসনে বসে থাকবে, পক্ষিকূল তাদের সামনে এসে বৃক্ষের ডালে বসে নেহায়েত মিষ্টি মধূর কন্ঠে বলবে, জান্নাতের এমন কোন প্রস্রবণ বাকী নেই যার স্বাদ গ্রহণ করিনি । এমন কোন শরাব নেই যা পান করিনি । এমন কোন লীলাভূমি নেই যা অতিক্রম করিনি । আমার স্বাদ অসাধারণ । পক্ষিকূলের অমন তারিফ শুনে মুমিনরা তাকে খাওয়ার আকাংখা করবে । আকাংখা অনুযায়ী পাখিটি তার দরস্তখানে ভূনা অবস্হায় তার ইচ্ছানুযায়ী এসে উপস্হিত হবে । মুমিন তার চাহিদামত ভক্ষণ করবেন । এরপর আল্লাহর হুকুমে পাখিটি জীবন্ত হয়ে উড়ে যাবে এবং অপরের সামনে সগর্বে বলবে, আমার চেয়ে সৈাভাগ্যবান আর কে আছে, আল্লাহর প্রিয় বান্দা আমাকে তার লোকমা হিসেবে গ্রহণ করেছেন । তারপর পুনরায় সে তার আপন স্হানে বসের পূর্বের ন্যায় বলতে থাকবে । হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা.) বলেন, নবী করিম (সা.) বলেছেন, সেই হবে নিম্নতম বেহেশ্তী , যার আশি হাজার খাদেম ও বাহাত্তর স্ত্রী থাকবে । তার জন্য মোতি এবং জবরজদ ও ইয়াকুত পাথরে নির্মিত এমন এক অট্রালিকা থাকবে, যা দৈর্ঘ্যে প্রস্হে জবীয়া হতে সানা পর্যন্ত পথের সমান বিস্তৃত । - তিরমিযি । সূত্রঃ কুড়ানো মানিক, মাওলানা মহিউদ্দিন (৪র্থ খন্ড) । বেহেশ্তের নেয়ামত আরো লিখতে গেলে লেখা আরো বড় হয়ে যাবে । দুনিয়াতে থেকে বেহেশ্তের অবস্হা ঠিক মত বুঝাও যাবেনা । সেখানে সবারই যেতে মন চায় । কিন্তু আমরা কি সে মত নিজেকে তৈরী করছি ? আমাদের অবস্হা হচ্ছে , মুয়াজ্জিন আযান হলে আমরা নিদ্রায় পড়ে থাকি । ব্যবসা-বাণিজ্যের ব্যস্ততায় নামায ছেড়ে দেই । যাকাত ফরজ হলে নানা অজুহাত দাড় করাই । রমযানের রোযা এলে দিনের বেলা পানাহার করি । হজ্ব ফরয হলে সম্পদ ব্যয়ের ভয়ে হজ্ব না করে কবরে যাই । ব্যবসা-বাণিজ্যে হালাল-হারামের সামান্যতম খেয়ালও করি না । অপরের অর্থ সম্পদ মেরে দেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ মনে করি । দুর্বলের প্রতি জুলুম করি । গরীব ও মেহনতী মানুষকে খাটিয়ে যথার্থ পারিশ্রমিক দেই না । সুদের লেনদেন না করা নির্বোধের কাজ মনে করি । এতিমের সম্পদ অন্যায়ভাবে হরণ করি । নফল নামায আদায় সময়ের অপচয় মনে করি । কোন কাজেই আল্লাহ যে দেখছেন তা স্মরণে রাখিনা । এরপরও আমরা বেহেশ্তে লাভের উচ্চাশ পোষণ করি । এটা নির্বুদ্ধিতা ছাড়া আর কিছু নয় । বেহেশ্তের উচ্চ মর্যাদা লাভের জন্য প্রবৃত্তিকে দমন করতে হয় , শরীয়তের বিধান পালনে মনকে শাসন করতে হয় । হাদীসে আছে, "প্রবৃত্তির কামনা-বাসনা দ্বারা জাহান্নাম, আর মনের অপন্দনীয় বিষয় দ্বারা বেহেশ্তকে পরিবেষ্টিত করে রাখা হয়েছে " । -মুসলিম, মেশকাত । জাহান্নামের ইন্ধন হবে মানুষ এবং পাথর।

চুল-দাঁড়ি কাটলে কি ঘন হয়?


ত্তরঃ চুলের বা দাঁড়ির বড় হওয়া নিয়ন্ত্রন করে হেয়ার ফলিকল নামক এক ধরনের বস্তু, যা চামড়ার খানিক নিচে থাকে। সারাদিন যতই জিলেট দিয়ে দাঁড়ি কামানো হোক না কেন, এই ফলিকলের উপর এর কোন প্রভাব পড়েনা। চামড়ার উপর উঠে আসা চুলের/ দাঁড়ির অংশ, যা বাস্তবে চুলের মৃত অংশ, সেটাই শুধু কাটা পড়ে। এই বিশ্বাস তৈরি হবার পিছনে কারন সম্ভবত কাটবার পর যখন নতুন চুল দাঁড়ি গজায়, সেটা ফিল করতে গেলে বেশ শক্ত মনে হয়, বেশ ঘনও মনে হতে পারে। যে সারফেসে একদম চুল/ দাঁড়ি নেই, সেখানে অল্প কিছু চুল গজালেই সেটাকে ঘন মনে হওয়া স্বাভাবিক, এবং সেটা নজরে পড়ে বেশি। এবং শেইভ করবার পর যখন নতুন দাঁড়ি উঠে, সেটার মাথা হয় ভোঁতা, যা হাত দিলে অনেক শক্ত মনে হয়। দুটো মিলে ঘন/ কাল চুলের এক ধরনের ইলিউশন তৈরী হয়। আরেকটা কারন হতে পারে, ছেলেদের যখন প্রথম দাঁড়ি উঠে তখন গ্রোথ টা কম থাকে কিন্তু পরবর্তিতে এই রেট টা বাড়ে, কাজেই এমন মনে হতে পারে, যে বছরের পর বছর শেইভ এর কারনেই এই গ্রোথ টা বাড়ছে। কাজেই, মাথার চুল পড়ে যেতে থাকলে ডাক্তারের কাছে যেতে পারেন, নাপিতের কাছে নয়। বাচ্চার চুল যদি ঘন হবার থাকে তা এম্নিতেই হবে, মাথা নিয়ম করে কামালেই হবে, বারবার কামানোর দরকার নেই।

সোমবার, ১৬ মার্চ, ২০১৫

ভালোবাসার কবিতা<মেহিদি পাতা,


অনন্ত, মেহিদি পাতা দেখেছ নিশ্চয়? উপরে সবুজ, ভেতরে রক্তাক্ত ক্ষত-বিক্ষত- নিজেকে আজকাল বড় বেশি মেহেদি পাতার মতো, মনে হয় কেন? উপরে আমি অথচ ভিতরে কষ্টের যন্ত্রনার- এমন সব বড় বড় গর্ত যে- তার সামনে দাড়াতে নিজেরী ভয় হয়, অনন্ত। তুমি কেমন আছো? বিরক্ত হচ্ছ না তো? ভালোবাসা যে মানুষকে অসহায়ও করে তুলতে পারে- সেদিন তোমায় দেখার আগ পর্যন্ত- আমার জানা ছিলো না। তোমার উদ্দাম ভালোবাসার দূতি- জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ছারখার করে ফেলেছে আমার ভিতর- আমার বাহির- আমার হাতে গড়া আমার পৃথিবী। অনন্ত, যেই মিথিলা শুখী হবে বলে- ভালোবাসার পূর্ণ চঁন্দ গিলে খেয়ে- ভেজা মেঘের মতো উড়তে উড়তে চলে গেল, আজ অন্য শূন্য, অনন্তকে আরো শূন্য করে দিয়ে- তার মুখে এসব কথা মানায় না, আমি জানি- কিন্তু আমি আর এভাবে এমন করে পারছি না আমার চারদিকের দেয়াল জুড়ে থই থই করে- আমার স্বপ্ন খুনের রক্ত। উদাস দুপুরে বাতাসে শিষ দেয় তোমার সেই ভালোবাসা পায়ে পায়ে ঘুরে ফেরে ছায়ার মতোন- তোমার স্বৃতি। আমি আগলাতেও পারি না, আমি ফেলতেও পারি না। শুখী হতে চেয়ে এখন দাড়িয়ে আমি- একলা আমি- কষ্টের তুষার পাহারে। অনন্ত তোমার সামনে দাড়ানোর কোন – যোগ্যতাই আজ আমার অবশিষ্ট নেই। তবুও, তবুও তুমি একদিন বলেছিলে- ভেজা মেঘের মতো- অবুজ আকাশে উড়তে উড়তে- জীবনের সুতোয় যদি টান পরে কখনো? চলে এসো, চলে এসো- বুক পেতে দেব-আকাশ বানাবো আর হাসনা হেনা ফুটাবো। সুতোয় আমার টান পরেছে অনন্ত, তাই আজ আমার সবকিছু, আমার এক রোখা জেদ, তুমি হীনা শুখী অনেক স্বপ্ন! সব, সবকিছু জলাঞ্জলী দিয়ে- তোমার সামনে আমি নত জানু- আমায় তোমাকে আর একবার ভিক্ষে দাও। কথা দিচ্ছি- তোমার অমর্যাদা হবে না কোনদিন। অনন্ত, আমি জানি- এখন তুমি একলা পাষান কষ্ট নিয়ে ঘুরে বেড়াও, প্রচন্ড এক অভিমানে- ক্ষনে ক্ষনে গর্জে উঠে অগ্নিগিরি। কেউ জানে না, আমি জানি- কেন তোমার মনের মাঝে মন থাকে না, ঘরের মাঝে ঘর থাকে না, উঠোন জোরার উপর কলস- তুলসি তলের ঝড়া পাতা, কুয়ো তলার শূন্য বালতি- বাসন-কোসন, পূর্নিমা-অমাবর্ষা, একলা ঘরে এই অনন্ত- একা শুয়ে থাকা। কেউ জানে না, আমি জানি- কেন তুমি এমন করে কষ্ট পেলে- সব হরিয়ে বুকের তলের চিতানলে- কেন তুমি নষ্ট হলে? কার বিহনে চুপি চুপি, ধীরে ধীরে- কেউ জানে না, আমি জানি- আমিই জানি। আগামি শনিবার ভোরের ট্রেনে তোমার কাছে আসছি। অনন্ত, আমার আর কিছু না দাও- অন্তত শাস্তিটুকু দিও। ভালো থেকো! তোমারি হারিয়ে যাওয়া মিথিলা। মোহানা

শনিবার, ১৪ মার্চ, ২০১৫

প্রেম অথবা দাম্পত্য সম্পর্কে যে ৭ টি বিষয় মানুষ ভুলে যায়


(প্রিয়.কম)ভালোবাসি কথাটি বলা খুব সহজ হলেও এর ওজন কিন্তু অনেক বেশি। তাই শুধু ভালোবাসি বললেই কিন্তু সব কাজ শেষ হয়ে যায় না। যে মুহূর্তেই আপনি কাউকে ভালোবাসার কথা বলেন, সেই মুহূর্ত থেকেই এই ভালোবাসি কথাটির ওজন কীভাবে আরও বেশি বৃদ্ধি করা যায় সেই চিন্তাই নিশ্চয় করা উচিত সবার। কিন্তু বাস্তবে কতজন পারে? তাই বলে যারা পারেন তারা জয়ী আর যারা পারেন না তাঁদের হার এমনটা ভাবা হয়তো ভুল হবে। জীবনে প্রেম ও দাম্পত্য সম্পর্কে খুটিনাটি বিষয় নিয়ে মন কষাকষি হতেই পারে। তার মানে এই নয় যে যে সম্পর্কে ইতি আনতে হবে। কিন্তু অনেকেই তাঁদের সম্পর্ক চলাকালীন সময়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ভুলে যান যা হয়তো কখনোই ভুলে যাওয়া উচিত না। চলুন তাহলে জেনে নিই সেই ৭ টি বিষয়। ১। এমন কোন বিষয় টেনে আনবেন না যা পুরোপুরি অযথা মানুষ বলে কথা! আমরা এমন অনেকেই আছি যারা সম্পর্ক চলাকালীন সময়ে এমন এমন কিছু ব্যাপার নিয়ে কথা বলি যা নিয়ে আসলে কথা বলার কোন প্রয়োজনই নেই। আর এমন ধরনের কথা গুলো বলার সময়েই দেখা যায় মতে অমিল আর তখনই সম্পর্কে দেখা দেয় সমস্যা। ২। ক্ষমা চাওয়া ও ক্ষমা করে দেয়া মানুষ হিসেবে আমরা সবাই-ই কোন না কোন ক্ষেত্রে অন্য রকম। কেন বা কী কারণে আমরা কোন কাছের মানুষের ভুলকে ক্ষমা করতে পারিনা ও নিজের ভুলের জন্য ক্ষমা চাইতেও পারিনা তা আমরা অনেকেই জানিনা। হয়তো খুব কষ্ট পাই আমরা, তাই ক্ষমাও করতে পারিনা এবং নিজের ইগো এর কারণে ক্ষমা চাইও না। কিন্তু সম্পর্ককে সুন্দর ভাবে এগিয়ে নিতে হলে ক্ষমাশীল হওয়া খুব প্রয়োজন ও নিজের কোন ভুলের জন্য ক্ষমা চাওয়াও প্রয়োজন। এই বিষয়টি ভুলে গেলে চলবেনা। ৩। গসিপ করা থেকে বিরত থাকুন নারী কিংবা পুরুষ আমরা কম বেশি অনেকেই অন্যদের নিয়ে একজনের সাথে আরেক জন গসিপ করতে খুব ভালোবাসি। কিন্তু একবার চিন্তা করেও দেখুন আপনি যখন আপনার সঙ্গীর সাথে অন্য কাউকে নিয়ে গসিপ করবেন তখন আপনার সঙ্গী আপনাকে কেমন ভাবতে পারে? কিংবা ধরুন আপনারা দুজনে মিলেই অন্য কাউকে নিয়ে গসিপ করছেন যখন নিজেরা আলদা থাকবেন তখন একবার ভেবে দেখবেন এই বিষয়টি আপনাদের সম্পর্কের জন্য কতটা খারাপ। তাই অন্য কে নিয়ে কিছু বলার আগে নিজেকে নিয়ে ভাবুন। ৪। নিজের ব্যক্তিত্বকে ভুলে যাবেন না সম্পর্ক আপনার যেমনই হোক কখনো নিজের ব্যক্তিত্বকে ভুলে যাবেন না। নিজের জায়গায় নিজেকে সৎ রাখুন। আপনার ব্যক্তিত্বকে নিজের কাছে এমন ভাবে আগলে রাখুন যেন কোন ভুল আপনাকে ছুয়ে যেতে না পারে। ৫। কঠোর না হয়ে দয়ালু হন সম্পর্কে কেন জানি আমরা কঠোর হয়ে যাই মাঝে মাঝে। কারণ জীবনে হয়তো এমন কিছু ঘটনা ঘটে থাকে যার কারণে হয়তো অনেকেই তাঁদের সঙ্গীর সাথে খুব কঠোর হয়ে থাকেন। কিন্তু মনে রাখা ভাল সম্পর্কে কখনোই কঠোরতা চলেনা। কারণ লেবু যতই কচলাবেন ততই তেতো রস বের হবে। তাই কঠোরতাকে ভুলে গিয়ে মনকে নরম রাখুন। ৬। আপনার সঙ্গী কী বলছে শুনুন সম্পর্কে অনেক পরিচিত একটি সমস্যা হল, সঙ্গী কী বলছে তা ঠিক মত না শুনা। আমরা অনেকেই আছি যারা শুধু বলতেই পছন্দ করি কিন্তু শুনতে পছন্দ করিনা। কিন্তু একে অপরকে কী বলছে কেন বলছে তা অবশ্যই মনযোগ দিয়ে শোনা উচিত। ৭। আশা কম করুন কিন্তু করুন বেশি কোন কিছুর আশা নিয়ে কি আর সম্পর্ক চলে বলুন? নিশ্চয়ই না। যখন কোন সম্পর্কে আপনি শুধু আশাই করে যাবেন তখন সেই সম্পর্ক কীভাবে ভাল থাকবে বলুন? তাই কোন কিছু আশা করার বদলে যতটা পারুন করুন তাতেই সুখ বেশি। কিন্তু আমরা কেন জানি মাঝে মাঝে খুব স্বার্থপর হয়ে যাই। সম্পর্কটা ‘দেয়া ও নেয়া’ টাইপের হয়ে যায়। কিন্তু এই ধরনের সম্পর্ক গুলোই কখনো টিকে থাকেনা।

মানুষের কাছে ঋণ, মানুষের জন্য ভালবাসা


ভুপেন হাজারিকার এই গানটা প্রথম শুনেছিলাম কোন একটা বাংলা ছবিতে।কিন্তু গানটা যে কত সত্য তা আমরা অনুভব করি প্রতিনিয়ত। তাই না চাইতেও দেখা যায় আমরা অনেক মানুষকে ভালবাসি এবং তাদের জন্য কিছু করতে অন্তর থেকে সাড়া পাই। আর এভাবেই জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত আমরা মানুষেরা একে অপরের ঋণ শোধ করে যাই।কিন্তু মানুষের কাছে যে ঋণ তা কি শেষ হবার? কিছু কিছু মুহুর্তে কিছু কিছু মানুষের কাজ অন্য আরেক মানুষকে আজন্মের জন্য ঋণী করে দেয়।শুধু অন্তর থেকে বয়ে আসা পবিত্র শ্রদ্ধায় এসব মানুষকে প্রতিনিয়ত স্মরন করে যাই আমরা। কারন কোন কিছুতেই যে এ ঋণ শোধ হবার নয়। আমি তখন ক্লাস ফাইভে। সিলেটে।আমরা থাকতাম সিলেটে জালালাবাদ আবাসিকে। তখন আমাদের পাশের বাসায় এক আংকেল আর এক আন্টি থাকত। আন্টি তখন মা হচ্ছিলেন। সিলেট ওসমানী হাসপাতালে তাকে নিয়ে যাওয়া হল। যেদিন ডেলিভারী সেদিন নাকি অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার প্রায় মরণ দশা। উনার গ্রুপের রক্ত ও নাকি পাওয়া যাচ্ছিলনা। তখন সম্পুর্ণ অপিরিচিত এক মেডিকেলের ভাইয়া নাকি রক্ত দিয়ে সেই আন্টিকে বাঁচায়। ঐ আংকেল নাকি সেই ভাইয়াকে জড়িয়ে ধরে কেঁদেছিলেন। ছোট যে ছেলেটি তাদের হয়েছিল তার নাম রাখা হয়েছিল শাওন। শাওনের জন্মের পর আংকেল আন্টি সবাইকে দাওয়াত করে খাইয়েছিলেন। সেই ভাইয়াটাও ছিল।তারপর জীবনের নিয়মে জীবন দ্রুত চলে গেল। এরপর কোনদিন সেই ভাইয়াকে দেখিনি। কিন্তু সে যে এক অদ্ভুত আপরিমেয় ঋণের জালে তাদের রেখে গেল তার কি কোন শোধ আছে? অবশ্যই শাওনকে আন্টি সেই ভাইয়ার কথা বলেছিলেন। তার প্রতি শাওনের শ্রদ্ধা কি এ জীবনে কোনদিন শেষ হবে? জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তার মনে থাকবে একজন মানুষের কারণে সে মাতৃহারা হয়নি। অপুর্ব। সদ্যই ইন্টারমিডিয়েট পাস করে ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হবে। সরকারী কর্মচারী বাবা এ নিয়ে অনেক আনন্দিত এবং হালকা শংকিত। তার মাথায় চলছে ভর্তির যে টাকাটা সেটা কোথা থেকে জোগাড় হবে। কোন ভাবে টাকা জোগাড় হয়ে গেল। ইঞ্জিনিয়ারিং পাশের পর সে জানতে পারল, তার ভর্তির ফি টা তখন তার বাবা অফিস সহকর্মী কাওসার সাহেবের কাছ থেকে ধার করে নিয়েছিলেন। সেই ধার ও শোধ হয়ে গেছে। কিন্তু তার মুল্য কি কখনো শোধ হবে? বিপদের সময় এতটুকু উপকার ও তাই অনেক বড় হয়ে দাঁড়ায়। সারাজীবন ভাবায়। ছেলেবেলায় প্রায় ই ট্রেনে করে বাড়ি যেতাম আমরা। প্রতি বছর কম করে হলেও দুইবার। ক্লাস সিক্সে থাকতে আমাদের সাথে ট্রেনে পরিচয় শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া হারুন ভাইয়ার। হারুন ভাইয়ার অসাধারন গুণ ছিল- মানুষের সাথে মিশে যাওয়ার। যাত্রাপথের ছয় সাত ঘন্টা আমরা সেবার হারুন ভাইয়ার সাথেই কাটিয়ে দিলাম। খুব মন মন খারাপ হয়েছিল আমার আর ছোটবোন নোভার। ঈদের পর একদিন বাসায় এসে দেখি হারুন ভাইয়া বসে আছে। আমাদের খুশি কে দেখে? হারুন ভাইয়ার মাধ্যমেই আমার জীবনের প্রথম গৃহশহিক্ষকের পরিচয়।শুধু শিক্ষক বললে যাকে অপমান করা হয়। আমার আদর্শ আমার MENTOR রিপন ভাইয়া। রিপন ভাইয়া আমার চোখে স্বপ্ন এঁকে দিয়েছিলেন। আমি আজ যতটুকে এসেছি তার এক বিশাল অনুপ্রেরণার নাম রিপন ভাইয়া। অসাধারন একটা মানুষ ছিলেন। স্বপ্ন দেখতেন দেখাতেন। আমার এখনো মনে পড়ে রিপন ভাইয়া নীল প্লাস্টিকের কক্স জ্যামিতি বক্স নিয়ে বাসায় আসতেন। আমি বলতাম ভাইয়া পরীক্ষা কেমন হল। আমাকে বলতেন, “ভার্সিটি লাইফের পরীক্ষা বুঝলি সবই ভাল আবার সবই খারাপ”। ভাইয়া যখন ছুটিতে বাড়ি যেতেন আমাদের বাসা থেকে খেয়ে ব্যাগ নিয়ে বেড়িয়ে পড়তেন। আমাদের পরিবারের এক অংশ ছিলেন ভাইয়া। ক্লাস এইট শেষে আমরা যখন চিটাগং চলে আসি তখন ভাইয়া একটা চিঠি দিয়েছিলেন আর সাথে একটা ফটোগ্রাফ। সেই চিঠি আমাকে সারা জীবন অনুপ্রেরনা দিয়ে যায় এগিয়ে যাওয়ার জন্য। ভাইয়াদের বাসা ছিল ঢাকায়। তিনি পরে আমাকে কুরিয়ার করে অনেক স্টাডি ম্যাটেরিয়াল পাঠিয়েছিলেন।একজন হারুন ভাইয়া বা একজন রিপন ভাইয়ার কাছে আমার যে ঋণ তা শোধ হবার নয়। সারা জীবন জিঈয়ে রাখার। যা আমাকে তাদের মত হতে অনুপ্রাণিত করে। এভাবেই জেনে বা না জেনে , বুঝ বা না বুঝে আমরা মানুষ আশে পাশের সকলের কাছে ঋণী। উপরের তিন টা ঘটনা তার উদাহরণ মাত্র। এসকল ঋণ অর্থমূল্যে মাপার নয়, এসব ঋন অমুল্য দীপ্সহিখার মত আমাদের সামনে নিয়ে যায়।। আরো কিছু মানুষের জন্য কিছু করার। এভাবেই মনুষত্ব বেঁচে থাকে। মানুষ বেঁচে থাকে মানুষের ভালবাসা নিয়ে। ভার্সিটি লাইফে প্রথম যে ক্লাস তাতে মাশরুর স্যার বলেছিলেন তোমরা যে এত সস্তায় পড়ছ-ইঞ্জিনিয়ার হচ্ছ তাতে অবদান আছে নাম না জানা কোন এক কৃষকের যে কাজের ফাঁকে যে বিড়ি টানছে তাতেও ট্যাক্স দিচ্ছে । আর এমন অগণিত মানুষের শ্রম থেকেই তোমাদের পড়ালেখার অর্থ আসে। অসাধারন এই মনুষত্ব। বেঁচে থাকুক মানুষের প্রতি মানুষের ভালবাসা। কারন যেদিন এই ভালবাসা শেষ হয়ে যাবে-আমাদের কিছুই থাকবেনা- যার নিদর্শন অল্প অল্প হলেও বুঝ যায় আজকাল। ** অনেক দিন পর কিছু লিখলাম। আগে যখন নিয়মিত ছিলাম তাদের অনেকে দেখি নেই। আবার অনেক নতুন বন্ধুদের দেখা মিলছে। সবাই ভাল থাকুক এটাই আশা।

শুক্রবার, ১৩ মার্চ, ২০১৫

৭৩টি ভাষায় প্রকাশ করুন আপনার “ভালবাসা”


“আমি তোমাকে ভালবাসি”– ১.বাংলা = আমি তোমাকে ভালবাসি ২.ইংরেজি = আই লাভ ইউ ৩.ইতালিয়ান = তি আমো ৪.রাশিয়ান = ইয়া তেবয়া লিউব্লিউ ৫.কোরিয়ান =তাঙশিনুল সারাঙ হা ইয়ো ৬.কানাডা = নান্নু নিনান্নু প্রীতিসুথিন৭.জার্মান = ইস লিবে দিস ৮.রাখাইন =অ্যাঁই সাঁইতে ৯.ক্যাম্বোডিয়ান=বোন স্রো লানহ্উন ১০.ফার্সি = দুস্তাত দারাম ১১.তিউনিশিয়া =হাহেক বাক ১২.ফিলিপিনো =ইনবিগ কিটা ১৩.লাতিন =তে আমো ১৪.আইরিশ =তাইম ইনগ্রা লিত ১৫.ফ্রেঞ্চ = ইয়ে তাইমে ১৬.ডাচ = ইক হু ভ্যান ইউ ১৭.অসমিয়া = মুই তোমাকে ভাল্ পাও ১৮.জুলু = মেনা তান্দা উইনা ১৯.তুর্কি = সেনি সেভিউর ম ২০.মহেলি = মহে পেন্দা ২১.তামিল = নান উন্নাই কাদালিকিরেন ২২.সহেলি = নাকু পেন্দা ২৩.ইরানি = মাহ্ন দুস্তাহ্ত দোহ্রাহম ২৪.হিব্রু = আনি ওহেব ওটচে (মেয়েকে ছেল)আনি ওহেব ওটচা (ছেলেকে মেয়ে) ২৫.গুজরাটি = হুঁ তানে পেয়ার কার ছু ২৬.চেক = মিলুই তে ২৭.পোলিশ = কোচাম গিয়ে ২৮.পর্তুগীজ = ইউ আমু তে ২৯.বসনিয়ান = ভলিম তে ৩০.তিউনেশিয়ান = হা এহ বাদ ৩১.হাওয়াই = আলোহা ওয়াউ লা ওই ৩২.আলবেনিয়া = তে দুয়া ৩৩.লিথুনিয়ান = তাভ মায়লিউ ৩৪.চাইনিজ = ওউ আই নি ৩৫.তাইওয়ান = গাউয়া আই লি ৩৬.পার্শিয়ান = তোরা ডোস্ট ডারাম ৩৭.মালয়শিয়ান = সায়া চিনতা কামু ৩৮.মায়ানমার = মিন কো চিত তাই ৩৯.ভিয়েতনামিস = আনাহ ইউইএম (ছেলে মেয়েকে) এম ইউই আনাহ (মেয়ে ছেলেকে) ৪০.থাইল্যান্ড = চান রাক খুন (ছেলে মেয়েকে) ফেম রাক খুন (মেয়ে ছেলেকে) ৪১.গ্রিক = = সাইয়াগাপো ৪২.চেক = মিলুই তে ৪৩.বর্মিজ = চিত পা দে ৪৪.পোলিশ = কোচাম গিয়ে ৪৫.মালয়ি = আকু চিন্তা কামু ৪৬.ব্রাজিল =চিতপাদে ৪৭.হিন্দি = ম্যায় তুমছে পেয়ার করতাহুঁ, ৪৮.জাপানী = কিমিও আইশিতের ৪৯.পাকিস্তান = মুজে তুমছে মহব্বত হায় ৫০.ফার্সি = ইয়ে তাইমে ৫১.সিংহলিজ = মামা ও বাটা আছরেই ৫২.পাঞ্জাবী = মেয় তাতনু পেয়ার কারতা ৫৩.আফ্রিকান = এক ইজ লফি ভির ইউ (ছেলে মেয়েকে) এক হাত যাও লিফ (মেয়ে ছেলেকে) ৫৪.তামিল = নান উন্নাহ কাদা লিকিরেণ ৫৫.রোমানিয়া = তে ইউবেস্ক ৫৬.স্লোভাক = লু বিমতা ৫৭.নরওয়ে = ইয়েগ এলস্কার দাই ৫৮.স্প্যানিশ = তে কুইয়েবু ৫৯.ফিলিপাইন = ইনি বিগকিটা ৬০.বুলগেরিয়া = অবি চামতে ৬১.আলবেনিয়া = তে দাসরোজ ৬২.গ্রীক = সাইয়াগাফু ৬৩.এস্তোনিয়ান = মিনা আর মাস্তান সিন্দ ৬৪.ইরান =সাহান দুস্তাহত দোহরাম ৬৫.লেবানিজ = বহিবাক ৬৬.ক্যান্টনিজ = মোই ওইয়ানেয়া ৬৭.ফিনিশ = মিন্যা রাকাস্তান সিনোয়া ৬৮.গ্রিনল্যান্ড= এগো ফিলো সু ৬৯.আরবী = আনা বেহিবাক (ছেলে মেয়েকে) আনা বেহিবেক (মেয়ে ছেলেকে) ৭০.ইরিত্রয়ান = আনা ফাতওকি ৭১.ইথিওপিয়ান = ইনি ওয়াডিসাল্লেহ ৭২.তেলেগু = নেনু নিন্নু প্রেমিসতুন্নানু ৭৩.সুরিনাম

জীবনের কিছু বাস্তব কথা !!!


জীবনের কিছু বাস্তব কথা !!! জীবন এত ক্ষণস্থায়ী বলেই মাঝে মাঝে সবকিছু এমন সুন্দর মনে হয়। বেশি দিন ভালবাসতে পারে না বলেই ভালবাসার জন্য মানুষের এত হাহাকার। তুমি যদি কাউকে হাসাতে পার, সে তোমাকে বিশ্বাস করবে। সে তোমাকে পছন্দও করতে শুরু করবে। হৃদয়ের গভীরে যার বসবাস, তাকে সবকিছু বলতে হয় না। অল্প বললেই সে বুঝে নেয়। মানবহৃদয় আয়নার মত। সে আয়নায় ভালবাসার আলো পড়লে তা ফিরে আসবেই। কাগজে-কলমে কোন সৌন্দর্যের যথার্থতা ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয়। সৌন্দর্যের মুখোমুখি গিয়ে দাঁড়াতে হয়। সুখী হওয়ার একটা অদ্ভুত ক্ষমতা আছে মানুষের। এ জগতে সবচেয়ে সুখী হচ্ছে সে, যে কিছুই জানে না। জগতের প্যাঁচ বেশি বুঝলেই জীবন জটিল হয়ে যায়। সব শখ মিটে গেলে বেঁচে থাকার প্রেরণা নষ্ট হয়ে যায়। যেসব মানুষের শখ মিটে গেছে তারা অসুখী। যার কাছে ঘুম আনন্দময় সে-ই পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ। অতি সামান্য জিনিসও মানুষকে অভিভূত করে ফেলতে পারে। খুব বেশি সুন্দর কোন কিছু দীর্ঘস্থায়ী হয় না। খুব ভাল মানুষরাও বেশি দিন বাঁচে না। স্বল্পায়ু নিয়ে তারা পৃথিবীতে প্রবেশ করে। যখন কেউ কারো প্রতি মমতা বোধ করে, তখনই সে লজিক থেকে সরে আসতে শুরু করে। মায়া-মমতা-ভালবাসা এসব যুক্তির বাইরের ব্যাপার। বেশি নৈকট্য দূরত্বের সৃষ্টি করে। প্রিয়জনদের থেকে তাই দূরে থাকাই ভাল। সম্পর্ক স্থির নয়, পরিবর্তনশীল। অতি দ্রুত যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে, উষ্ণতা কমে যেতেও তার সময় লাগে না। স্মৃতি সুখ বা দুঃখের যাই হোক, সবসময়ই কষ্টের। দুঃখ-কষ্ট-বেদনা ছড়াতে হয় না। ছড়িয়ে দিতে হয় আনন্দ। দুঃখ ভুলে যাওয়া কঠিন। তবে সুখস্মৃতি মনে রাখা তার চেয়েও একটু বেশি কঠিন। মোহের কাছে পরাজিত হওয়া ঠিক নয়। কিন্তু খুব কম মানুষই মোহযুদ্ধে অপরাজিত থাকে। সুন্দর স্বপ্ন আফসোসেরও কারণ। বাস্তবতা যতই মধুরই হোক, স্বপ্নের মত হয় না। স্বপ্ন পূরণ হতেই হবে সেটা কিন্তু সত্যি নয়। স্বপ্ন দেখতে হয় আর সেটার জন্য কাজ করতে হয় - এটা হচ্ছে সত্যি। প্রতিজ্ঞা করার আগে তাই একটু হলেও ভাবা উচিত। মিথ্যা দিয়ে হাসানোর চেয়ে সত্য বলে কাঁদানোই শ্রেয়। চোখের জলের মত পবিত্র কিছু নেই। এই জলের স্পর্শে সব গ্লানি-মালিন্য কেটে যায়। কিছু কথা শুধু নিজের ভেতর রাখো। দ্বিতীয় কেউ জানবে না। কোনভাবেই না। দুই জন জানলে বিষয়টা গোপন থাকে। তিনজন জানলে নাও থাকতে পারে। আর চারজন জানা মানে সবাই এক সময় জেনে যাবে। রহস্য সৌন্দর্যের সৃষ্টি করে। কৌতূহলেরও জন্ম দেয়। বলার আগে শুনে নাও, প্রতিক্রিয়া দেখানোর আগে চিন্তা কর, সমালোচনার আগে ধৈর্য্য ধর, প্রার্থনার আগে ক্ষমা চাও, ছেড়ে দেয়ার আগে চেষ্টা কর। না চাইতেই যা পাওয়া যায়, তা সবসময় মূল্যহীন। পায়ের আলতা খুব সুন্দর জিনিস। কিন্তু আলতাকে সবসময় গোড়ালীর নিচে পড়ে থাকতে হয়, এর উপরে সে উঠতে পারেনা। অতিরিক্ত যেকোন কিছু পতন নিয়ে আসে। সবকিছু তাই নির্দিষ্ট সীমায় রাখাই শ্রেয়। চুপ থাকা খুব সহজ একটা কাজ। পারস্পরিক বহু সমস্যার সমাধান শুধু চুপ থাকলেই হয়ে যায়। কিন্তু মানুষের সবচেয়ে বড় অযোগ্যাতা হচ্ছে সে মুখ বন্ধই রাখতে পারে না, অপ্রয়োজনে অনর্গল বকে যায়। সৎ থাকো। অবশ্যই সুখী হবে। দুর্নামকারীরা সাধারণত আড়ালপ্রিয়। সামনে ভাল মানুষ সেজে বসে থাকে। বুদ্ধিহীনরা তর্কবাজ হয়। নিজের বুদ্ধির অভাব তর্ক দিয়ে ঢাকতে চায়। বিচার যখন থাকে না, সমস্যার সমাধানও হয় না। সব সমস্যা বরং পুঞ্জীভূত হয় আরও। আমাদেরও তাই হচ্ছে। পরিস্থিতিই মানুষকে তৈরি করে। পরিস্থিতি যখন বদলে যায়, মানুষও তখন পাল্টে যায়। মানুষ আসলে জলের মত। পাত্রের সঙ্গে সঙ্গে সে তার আকার বদলায়। এই পৃথিবীর প্রতিটি দিনই সম্ভাবনার। সম্ভাবনাময়ী এখানে আসলে আমাদের প্রতিটি মুহুর্তই। মানবজাতি ধীরে ধীরে সব সুযোগকেই উপলদ্ধি করবে। অবশ্যই সব সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিবে। উপকার করার পর 'করেছি' বলার চেয়ে সাহায্য না করাই শ্রেয়। জীবনের জটিল ও মূল বিষয়গুলো মানবজাতির কাছে রহস্যাবৃত হয়ে থাকে। এর চেয়ে সুন্দর আর কী হতে পারে? চলতে শুরু না করলে পথ হারাবার ভয় থাকে না। কিন্তু তাতে গন্তব্যে পৌছানোর আশাও ফুরিয়ে যায়। মৃত্যুপথযাত্রী মানুষ কারও কাছ থেকে বিদায় নেয় না। মায়া নামক ভ্রান্তি তাকে ত্যাগ করে। গ্রাস করে তখন ভয় নামক অনুভূতি। মৃত্যু ভয়াবহ নয়, কুৎসিতও নয়। এর সৌন্দর্য জন্মের চেয়ে আসলে কোন অংশে কম নয়। এই অংশের সাথে পরিচিত নই বলেই আমরা একে এত ভয় পাই। ভয়াবহ বিপদ কিংবা দুর্যোগের সামনে মানুষ অসহায় হয়ে পড়ে। একে অন্যের কাছে আশ্রয় খোজেঁ, আশ্রয় খোঁজে প্রকৃতির কাছে। সবাই দাঁড়িয়ে যায় একই কাতারে। বৈষম্য ও অনাচার বেষ্টিত এই আবাসভূমি হয়ে যায় সাম্যবাদের উৎকৃষ্ট নিদর্শন। বড় ধরণের বিপদ-আপদের প্রয়োজন তাই পৃথিবীতে এখনও আছে।প্রতিটি বিপদের দুটি অংশ থাকে। বিপরীত অংশটি হল জীবন। নগদ টাকা আলাদীনের চেরাগের মত। হাতে থাকলে পৃথিবী নিজের হয়ে যায়। পথ কখনও শেষ হয় না। দীর্ঘ ভ্রমণের পর গন্তব্যে পৌছেও কেউ স্থির থাকে না। ছুটতে শুরু করে অন্য কাজে, অন্য পথে, অন্য আরেক লক্ষ্যস্থলে। এক একটি দিন শেষ করে আমরা এগুতে থাকি চুড়ান্ত যাত্রার পথে। মানবমৃত্যুই পথের সমাপ্তি। নিরন্তর ছুটে চলা মানুষের শেষ গন্তব্য। সবাই মারা যায়। কিন্তু সবাই চলে যায় না। নিঃস্বার্থ কর্মী মানুষরা মৃত্যুর পরও থেকে যায়, কর্মপূণ্যে থেকে যায় মানুষের মনে - যুগের পর যুগ ধরে।

আত্মবিশ্বাসীরা যখন যার সঙ্গে কথা বলেন, তাঁর চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলেন। প্রতীকী ছবি: প্রথম আলোআত্মবিশ্বাস আর প্রেরণা একটি অন্যটির সঙ্গে সম্পর্কিত। এ দুয়ের সম্মিলনেই সফলতা আসে জীবনে। কিন্তু আমাদের সমাজে গোমড়া মুখে ঘুরে বেড়ানো মানুষেরও অভাব নেই। এদের ভিড়ে আত্মবিশ্বাসী মানুষের সংখ্যা কম হলেও তাঁদের খুঁজে পাওয়া অসম্ভব কিছু নয়। আত্মবিশ্বাসীদের ব্যক্তিত্ব ও চরিত্রের কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্য আছে। সেসব দেখে চিনে নিতে পারেন আপনার আশপাশের আত্মবিশ্বাসীদের। পাশাপাশি নিজের জীবনে সেসবের চর্চায় আপনিও হয়ে উঠুন আত্মবিশ্বাসী। উইম্যানেটলি ডটকম এক প্রতিবেদনে এ সম্পর্কে জানিয়েছে। শরীরী ভাষা অনেকেই আছেন যাঁরা সামনে থাকা মানুষটির সঙ্গে কোনো বাক্যবিনিময় ছাড়াই তাঁর সম্পর্কে ধারণা পেয়ে যান। আত্মবিশ্বাসীরা অন্যদের প্রভাবিত করেন তাঁদের শরীরী ভাষার মাধ্যমে। তাঁরা সাধারণত স্থির স্বভাবের। হাঁটাচলাই করুন বা বসেই থাকুন, তাঁদের শরীরী ভঙ্গিমা দেখেই অন্যরা বুঝতে পারবেন তাঁর বিশেষত্ব। এক দল লোকের মধ্য থেকে সহজেই তাঁকে আলাদা করতে পারবেন আপনি। আত্মবিশ্বাসীরা যখন যার সঙ্গে কথা বলেন, তাঁর চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলেন। সংক্রামক হাসি আত্মবিশ্বাসী মানুষ জীবনের সব মুহূর্তেই ইতিবাচক থাকেন। এরা খুব একটা ভেঙে পড়েন না। ভালো অনুভূতি এবং নিজের জীবনের হাসি-আনন্দও তাঁর চারপাশে থাকা মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে পছন্দ করেন আত্মবিশ্বাসীরা। এমনকি অপরিচিত কারও সঙ্গে কথা বললেও এঁরা নিজের আত্মবিশ্বাসটাকে ওই মানুষটির মধ্যে ছড়িয়ে দেন। খুব বেশি মাত্রায় আত্মবিশ্বাসীরা অপরিচিত লোকদের সঙ্গে সহজেই মিশে যেতে পারেন। তাঁরা বিশ্বাস করেন, হাসতে পারার ক্ষমতাই তাঁদের ইতিবাচক জীবনযাপনে সাহায্য করে। তাই হাসি-খুশি থাকুন। চারপাশের মানুষের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করুন। দেখবেন ভেতর থেকে ভালো লাগা কাজ করছে এবং ভালো থাকতে পারছেন। তাঁরা অন্যের মনে ব্যথা দেন না আত্মবিশ্বাসী মানুষ আরেকজন মানুষের নেতিবাচক দিক নিয়ে খুব বেশি কথা বলেন না। কারণ তাঁরা নিজেদের নিয়েই থাকেন। বরং তাঁরা প্রিয়জনকে সহযোগিতা করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। আত্মবিশ্বাসী মানুষ কারোর ব্যাপারে কথা বলার সময় অনেক হিসাব করে কথা বলেন। পেশাগত জীবনই হোক বা ব্যক্তিজীবন, আত্মবিশ্বাসীরা নিজের কাজের বিষয়ে সব সময় মনোযোগী থাকেন। যোগাযোগের সূতিকাগার এটা সত্যি যে অপরিচিত কারোর সঙ্গে কথা বলতে অনেকেই দ্বিধায় ভোগেন। কিন্তু আত্মবিশ্বাসীরা এ বিষয়ে উল্টো পথের যাত্রী। তাঁরা মনে করেন, অপরিচিতদের সঙ্গে আলাপ আলোচনায় নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন হয়। তাঁরা বিশ্বাস করেন, নতুন কারও সঙ্গে পরিচিত হলে কিংবা কথা বললে নতুন কোনো কাজ সম্পর্কে জানা যেতে পারে। তাই নতুন কারোর সঙ্গে পরিচিত হওয়ার পর প্রয়োজনে তাঁরা তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করেন। ভিন্ন কিছু করা আত্মবিশ্বাসী ব্যক্তি অনেক সময় এমন কিছু করেন যেটা অন্যদের চোখে স্বাভাবিক মনে না-ও হতে পারে। মূল কথা, তিনি আসলে নতুন কিছু করতে মোটেও ভয় পান না। জীবনের জটিল কোনো সময়ে তিনি ভেঙে না পড়ে এমন কিছু করেন যেটি তাঁকে সফলতা এনে দেয়। আত্মবিশ্বাসী মানুষ জানেন এটি অস্বাভাবিক, তবে তিনি এ-ও জানেন, তিনিই সেরা! অন্যকে মূল্যায়ন করা নিজেকে আত্মবিশ্বাসী করতে হলে আত্মবিশ্বাসী মানুষজন যা করেন সেটির চর্চা করুন। আত্মবিশ্বাসীরা অন্য কেউ ভালো কিছু করলে সেটির বাহবা দিতে ভুল করেন না। অন্যের কাজের মূল্যায়ন তাঁরা ঠিকভাবেই করেন। হাসি মুখে প্রশংসা গ্রহণ আত্মবিশ্বাসী মানুষ কেউ প্রশংসা করলে হাসি মুখেই তা বরণ করেন। এটি তাঁর স্বভাবে থাকা বন্ধুসুলভ আচরণের প্রকাশ। অনাকাঙ্ক্ষিত কারও কাছ থেকে প্রশংসা পেলে হাসি মুখে সেটা নিতে না পারলেও এ জন্য ধন্যবাদ জানাতে ভোলেন না।


আত্মবিশ্বাসীরা যখন যার সঙ্গে কথা বলেন, তাঁর চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলেন। প্রতীকী ছবি: প্রথম আলোআত্মবিশ্বাস আর প্রেরণা একটি অন্যটির সঙ্গে সম্পর্কিত। এ দুয়ের সম্মিলনেই সফলতা আসে জীবনে। কিন্তু আমাদের সমাজে গোমড়া মুখে ঘুরে বেড়ানো মানুষেরও অভাব নেই। এদের ভিড়ে আত্মবিশ্বাসী মানুষের সংখ্যা কম হলেও তাঁদের খুঁজে পাওয়া অসম্ভব কিছু নয়। আত্মবিশ্বাসীদের ব্যক্তিত্ব ও চরিত্রের কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্য আছে। সেসব দেখে চিনে নিতে পারেন আপনার আশপাশের আত্মবিশ্বাসীদের। পাশাপাশি নিজের জীবনে সেসবের চর্চায় আপনিও হয়ে উঠুন আত্মবিশ্বাসী। উইম্যানেটলি ডটকম এক প্রতিবেদনে এ সম্পর্কে জানিয়েছে। শরীরী ভাষা অনেকেই আছেন যাঁরা সামনে থাকা মানুষটির সঙ্গে কোনো বাক্যবিনিময় ছাড়াই তাঁর সম্পর্কে ধারণা পেয়ে যান। আত্মবিশ্বাসীরা অন্যদের প্রভাবিত করেন তাঁদের শরীরী ভাষার মাধ্যমে। তাঁরা সাধারণত স্থির স্বভাবের। হাঁটাচলাই করুন বা বসেই থাকুন, তাঁদের শরীরী ভঙ্গিমা দেখেই অন্যরা বুঝতে পারবেন তাঁর বিশেষত্ব। এক দল লোকের মধ্য থেকে সহজেই তাঁকে আলাদা করতে পারবেন আপনি। আত্মবিশ্বাসীরা যখন যার সঙ্গে কথা বলেন, তাঁর চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলেন। সংক্রামক হাসি আত্মবিশ্বাসী মানুষ জীবনের সব মুহূর্তেই ইতিবাচক থাকেন। এরা খুব একটা ভেঙে পড়েন না। ভালো অনুভূতি এবং নিজের জীবনের হাসি-আনন্দও তাঁর চারপাশে থাকা মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে পছন্দ করেন আত্মবিশ্বাসীরা। এমনকি অপরিচিত কারও সঙ্গে কথা বললেও এঁরা নিজের আত্মবিশ্বাসটাকে ওই মানুষটির মধ্যে ছড়িয়ে দেন। খুব বেশি মাত্রায় আত্মবিশ্বাসীরা অপরিচিত লোকদের সঙ্গে সহজেই মিশে যেতে পারেন। তাঁরা বিশ্বাস করেন, হাসতে পারার ক্ষমতাই তাঁদের ইতিবাচক জীবনযাপনে সাহায্য করে। তাই হাসি-খুশি থাকুন। চারপাশের মানুষের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করুন। দেখবেন ভেতর থেকে ভালো লাগা কাজ করছে এবং ভালো থাকতে পারছেন। তাঁরা অন্যের মনে ব্যথা দেন না আত্মবিশ্বাসী মানুষ আরেকজন মানুষের নেতিবাচক দিক নিয়ে খুব বেশি কথা বলেন না। কারণ তাঁরা নিজেদের নিয়েই থাকেন। বরং তাঁরা প্রিয়জনকে সহযোগিতা করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। আত্মবিশ্বাসী মানুষ কারোর ব্যাপারে কথা বলার সময় অনেক হিসাব করে কথা বলেন। পেশাগত জীবনই হোক বা ব্যক্তিজীবন, আত্মবিশ্বাসীরা নিজের কাজের বিষয়ে সব সময় মনোযোগী থাকেন। যোগাযোগের সূতিকাগার এটা সত্যি যে অপরিচিত কারোর সঙ্গে কথা বলতে অনেকেই দ্বিধায় ভোগেন। কিন্তু আত্মবিশ্বাসীরা এ বিষয়ে উল্টো পথের যাত্রী। তাঁরা মনে করেন, অপরিচিতদের সঙ্গে আলাপ আলোচনায় নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন হয়। তাঁরা বিশ্বাস করেন, নতুন কারও সঙ্গে পরিচিত হলে কিংবা কথা বললে নতুন কোনো কাজ সম্পর্কে জানা যেতে পারে। তাই নতুন কারোর সঙ্গে পরিচিত হওয়ার পর প্রয়োজনে তাঁরা তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করেন। ভিন্ন কিছু করা আত্মবিশ্বাসী ব্যক্তি অনেক সময় এমন কিছু করেন যেটা অন্যদের চোখে স্বাভাবিক মনে না-ও হতে পারে। মূল কথা, তিনি আসলে নতুন কিছু করতে মোটেও ভয় পান না। জীবনের জটিল কোনো সময়ে তিনি ভেঙে না পড়ে এমন কিছু করেন যেটি তাঁকে সফলতা এনে দেয়। আত্মবিশ্বাসী মানুষ জানেন এটি অস্বাভাবিক, তবে তিনি এ-ও জানেন, তিনিই সেরা! অন্যকে মূল্যায়ন করা নিজেকে আত্মবিশ্বাসী করতে হলে আত্মবিশ্বাসী মানুষজন যা করেন সেটির চর্চা করুন। আত্মবিশ্বাসীরা অন্য কেউ ভালো কিছু করলে সেটির বাহবা দিতে ভুল করেন না। অন্যের কাজের মূল্যায়ন তাঁরা ঠিকভাবেই করেন। হাসি মুখে প্রশংসা গ্রহণ আত্মবিশ্বাসী মানুষ কেউ প্রশংসা করলে হাসি মুখেই তা বরণ করেন। এটি তাঁর স্বভাবে থাকা বন্ধুসুলভ আচরণের প্রকাশ। অনাকাঙ্ক্ষিত কারও কাছ থেকে প্রশংসা পেলে হাসি মুখে সেটা নিতে না পারলেও এ জন্য ধন্যবাদ জানাতে ভোলেন না।